ইসলাম কি আসলেই নারীদের নিচু দৃষ্টিতে দেখে?

...............................................................

ইসলামের সৌন্দর্যঃ
................................................................
মায়ের প্রতি সদ্ব্যবহার করার আদেশ দিয়েছে ইসলাম!...

আল্লাহ বলেনঃ
“আমরা মানুষকে তার মাতা-পিতার সাথে সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছি।”

[সূরা আহক্বাফ, আয়াত: ১৫]

Link: https://quran.com/46

উফ বলাটাও নিষেধঃ

“আর আপনার রব আদেশ দিয়েছেন তিনি ছাড়া অন্য কারো ইবাদত না করতে ও মাতা-পিতার প্রতি সদ্ব্যবহার করতে। তারা একজন বা উভয়ই তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হলে তাদেরকে ‘উফ’ বলো না এবং তাদেরকে ধমক দিও না। তাদের সাথে সম্মানসূচক কথা বল। আর মমতাবশে তাদের প্রতি নম্রতার পক্ষপুট অবনমিত কর এবং বল ‘হে আমার রব! তাঁদের প্রতি দয়া করুন যেভাবে শৈশবে তাঁরা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।”

[সূরা বনী ইসরাইল, আয়াত: ২৩-২৪]

Link: https://quran.com/17

মা জীবিত থাকায় জিহাদে যেতে দেননি নবী (সাঃ) এবং বলেন তোমার মায়ের পায়ের কাছে পড়ে থাকো!  সেখানেই তোমার জান্নাত!

ইবনে মাজাহ, হাদিস নংঃ ২৭৮১
Link: https://www.hadithbd.com/hadith/filter/?book=9&hadith=2781

মানুষের মাঝে সবচেয়ে বেশি ভাল এবং সদ্ব্যবহার পাওয়ার হকদার  হলেন মা!
মা কে ১০০ ভাগের ৭৫ ভাগ দেওয়া হয়েছে এবং পিতা কে দেওয়া হয়েছে মাত্র ২৫ ভাগ!
সহীহ বুখারি
হাদিস নংঃ ৫৯৭১

Link: https://www.hadithbd.com/hadith/filter/?book=12&hadith=5971

স্ত্রী হিসেবে নারীকে শ্রেষ্ঠ এবং যথাযোগ্য সম্মান দিয়েছে ইসলাম! 

ইসলাম ঘোষণা করেছে, সর্বোত্তম মুসলমান হচ্ছে সেই ব্যক্তি যে তার স্ত্রীর সাথে আচার-আচরণে ভাল। স্ত্রীর অনুমতি ব্যতীত তার সম্পদ গ্রহণ করাকে নিষিদ্ধ করেছে। এ বিষয়ক দলিল হচ্ছেঃ
“তোমরা তাদের সাথে সদ্ভাবে জীবনযাপন কর"
[সূরা নিসা, আয়াত: ১৯]

Link: https://quran.com/4

ইসলাম বলেছে " পুরুষদের যেমন নারীদের উপর অধিকার আছে ঠিক তেমনি নারীদেরও পুরুষদের প্রতি রয়েছে অধিকার "

আল্লাহ্‌র বাণী: “আর নারীদের তেমনি ন্যায়সংগত অধিকার আছে যেমন আছে তাদের উপর পুরুষদের; আর নারীদের উপর পুরুষদের মর্যাদা রয়েছে। আর আল্লাহ্‌ মহাপরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময় ।”
  [সূরা  বাকারা, আয়াত: ২২৮]
Link: https://quran.com/4
এখানে শ্রেষ্ঠত্ব বলতে বোঝানো হয়েছে দায়িত্বের দিক থেকে শ্রেষ্ঠত্ব! যেমনঃ পুরুষের উপর জিহাদের দায়িত্ব রয়েছে!  জিহাদের সময় পুরুষকে জিহাদ করতে হবে কিন্তু নারীকে নয়।  এ দায়িত্বের দিক দিয়ে পুরুষ শ্রেষ্ঠ!  স্বামীর উপর সংসারের সমস্ত খরচ খরচার দায়িত্ব এবং যাবতীয় দেখাশোনার দায়িত্ব ইসলাম দিয়েছে কিন্তু তা নারীর উপর দেয়নি!  এ দায়িত্বের দিক দিয়ে পুরুষ শ্রেষ্ঠ!
আবার একইভাবে স্ত্রী সন্তান গর্ভে  ধারণ করে আর এই গর্ভধারণকে ইসলাম ব্যাপক সম্মান দিয়েছে !
রেফারেন্সঃ (সুরা-৩১ লুকমান, আয়াত: ১৪)
গর্ভধারণের এই দায়িত্বতা আল্লাহ স্ত্রীকেই দিয়েছেন।  এ দায়িত্বের দিক দিয়ে স্ত্রী শ্রেষ্ঠ!   সম্মানের এবং স্বদব্যবহার পাওয়ার দিক দিয়ে পুরুষের চেয়ে নারী ৩গুণ বেশি পাবে!  রেফারেন্স সীহহ বুখারি হাদিস নং ৫৯৭১। জ্বি এটাই ইসলাম!  ইসলাম হলো ব্যালেন্সড!  কমপ্লিট কোড অব লাইফ!  ইসলাম বলেছে নারী পুরুষ একে অপরের পরিপূরক!  উভয়ের কেউই পরিপূর্ণ নয় একজন আরেকজনের পরিপূরক। প্রকৃতগিত ভাবে যাকে যেখানে দায়িত্ব দেওয়া প্রয়োজন যাকে যেখানে অধিকার দেওয়া প্রয়োজন তাকে সেখানে দিয়েছে।

হাদিসের দিকে লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাই নবী (সাঃ) বলেছেন সেই লোকই সবচেয়ে উত্তম ব্যাক্তি যে তার পরিবারের কাছে উত্তম।
অর্থাৎ উত্তম এবং আল্লহর পছন্দের বান্দা হতে হলে স্ত্রী এবং সন্তানসন্ততির চোখে ভাল হতে হবে।

নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন: “তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে তার পরিবারের কাছে উত্তম। আমি আমার পরিবারের কাছে উত্তম।”

[সুনানে তিরমিযি (৩৮৯৫), সুনানে ইবনে মাজাহ (১৯৭৭)

Link:
https://www.hadithbd.com/hadith/filter/?book=19&hadith=3895
মেয়ে হিসেবেও ইসলাম নারীকে সম্মানিত করেছে। ইসলাম মেয়ে সন্তান প্রতিপালন ও শিক্ষা দেয়ার প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছে। মেয়ে সন্তান প্রতিপালনের জন্য মহা প্রতিদান ঘোষণা করেছে। l

যে ব্যক্তি বালেগ হওয়া পর্যন্ত দুইজন মেয়েকে লালন-পালন করবেন সে ও আমি কিয়ামতের দিন সাহায্য করবে।
ইবনে মাজাহ (৩৬৬৯) উকবা বিন আমের (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি তিনি বলেন: “যে ব্যক্তির তিনজন মেয়ে রয়েছে। তিনি যদি মেয়েদের ব্যাপারে ধৈর্য্য ধারণ করেন, তাদেরকে সচ্ছলভাবে খাওয়ান ও পরান; এ মেয়েরা কিয়ামতের দিন তার জন্য জাহান্নামের আগুনের মাঝে বাধা হবে।”

Link : https://www.hadithbd.com/hadith/filter/?book=9&hadith=3669

একজন নারী হতে পারেন ফুপু হতে পারেন খালা হতে পারেন অন্যান্য আত্মীয়!
তাদের সকলের সাথে সম্পর্ক রাখাকে বাধ্যতামূলক করেছে ইসলাম এবং তাদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করাকে হারাম বলে ঘোষণা করেছে।  অর্থাৎ ইসলাম নারীকে সর্বদিক থেকেই যথাযোগ্য এবং যথার্থ সম্মান দিয়েছে ❣️।

আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করা হারামঃ
[সুনানে ইবনে মাজাহ (৩২৫১)
Link: https://www.hadithbd.com/hadith/filter/?book=9&hadith=3251
................................................................

Post a Comment

Previous Post Next Post